আইসিসি প্রস্তাবিত রাজস্বে বাংলাদেশ বঞ্চিত, প্রায় ৪০ ভাগ একাই নেবে ভারত

0

আইসিসির রাজস্ব বণ্টনের এক প্রহসনমূলক মডেল থেকে একসময় জন্ম নিয়েছিল তুমুল সমালোচিত ‘বিগ থ্রি’। ক্রিকেটের তথাকথিত তিন মোড়ল ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সেই রাজত্ব অবশ্য বেশিদিন টেকেনি। তবে সামনে আরও বিতর্কিত ‘বিগ ওয়ান’ যুগের সূচনা হতে পারে, যেখানে লাভের গুড় খাওয়ার ক্ষেত্রে এককভাবে রাজত্ব করবে ভারত।
ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো বুধবার জানিয়েছে, আইসিসির প্রস্তাবিত পরবর্তী রাজস্ব বণ্টন মডেল অনুযায়ী মোট আয়ের প্রায় ৪০ ভাগ একাই নেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)!
২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই কাঠামো এখনো প্রস্তাবনার পর্যায়ে আছে। তবে সেটির কাগজপত্র হাতে পেয়েছে ক্রিকইনফো। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, চার বছরের চক্রে প্রতি বছর আইসিসির সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি ডলার। সেখান থেকে ভারত একাই পাবে ২৩ কোটি ডলার, যা মোট আয়ের ৩৮.৫ শতাংশ। এতে অন্যদের মতো বাংলাদেশও প্রাপ্য আয় থেকে বঞ্চিত হবে। আয়ের তালিকায় বাংলাদেশ থাকবে আট নম্বরে।
আইসিসি থেকে বছরে দুই কোটি ৬৭ লাখ ডলারের কিছু বেশি পাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), যা মোট আয়ের মাত্র ৪.৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের চেয়েও কম পাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের ওপরে থাকা নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের আয় কাছাকাছি।
প্রস্তাবিত এই কাঠামোয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় হবে ইংল্যান্ডের। তবে ভারতের চেয়ে তারা যোজন যোজন পিছিয়ে। ইংল্যান্ড পাবে চার কোটি ১৩ লাখ ডলার, যা আইসিসির আয়ের ৬.৮৯ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া পাবে মোট আয়ের ৬.২৫ শতাংশ এবং পাকিস্তান ৫.৭৫ শতাংশ।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য বাকি আট দেশের সবার আয় হবে পাঁচ শতাংশের নিচে। গত মার্চে আইসিসির বোর্ড সভায় এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়, চারটি মানদণ্ড বিবেচনায় বোর্ডগুলোর আয় নির্ধারণ করা হয়েছে। মানদণ্ডগুলো হলো-ক্রিকেট ইতিহাস ও ঐতিহ্য, আইসিসির টুর্নামেন্টে গত ১৬ বছরের পারফরম্যান্স, আইসিসির বাণিজ্যিক আয়ে অবদান এবং পূর্ণ সদস্য হিসাবে সম্মান।
প্রস্তাবিত এই কাঠামো নিয়ে এ মাসেই মতামত জানানোর কথা সদস্য দেশগুলোর। সেটি হয়ে গেলে আগামী মাসে আইসিসির বোর্ড সভায় তা অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে। তবে বিতর্কিত এই কাঠামোর অনেক দিক নিয়ে প্রশ্ন আছে অধিকাংশ সদস্য দেশের। ফলে এর অনুমোদন সহজ হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *